Sunday, July 29, 2018

কবিতা


    ****অপরিচিত সেই মেয়েটি ***
👍    লেখা =- আল-মামুন
ভালোবাসার পরশ নিয়ে আসলে তুমি জুই,
ইচ্ছে করছে আনন্দে দূর আকাশ তাকে ছুই l
জুই নামক এক তারার ঘটা ঘটলো নীল গগনে,
তাকে নিয়ে হাজার স্বপ্ন জাগছে মনের কোণে l
ফুলের মত নাম খানি তার, চাঁদের মতো মুখ,
হাজার বছর থাকবো নিয়ে বাঁধছি আশায় বুক l
এক বিছানার এক বালিশে থাকবো দুজন শুয়ে.
লক্ষ কষ্টে ও ছাড়বো না পাশ, থাকবো দুজন পাশে l
নদীর যেমন আছে ঢেউ আর আমার আছে জুই.
মেঘের যেমন আছে বৃষ্টি, আমার আছিস তুই l
জুই হল মোর জীবন বীনা. জুই হল মোর আশা,
তুই ছাড়া জুই জীবন আমার. শুন্য বাঁশের খাঁচা l
এই তো সেদিন ফেসবুকে তোর ID খুঁজে পেয়ে,
জীবন যেনো ফিরে পেলাম, বাচবো তোকে নিয়ে l
সিলেট এবং রাজশাহীতে তোর আর আমার বাস,
তুই হলি জুই আমার আয়ু, আমি তোর নিশ্বাস,
সত্যি বলছি এগুলো সব মিথ্যা বলছি না,
ইচ্ছে আছে তোকে নিয়েই বাঁধবো আমার, সুখের ঠিকানা l
ভুল করেও তোর ইচ্ছে যেনো,হারাবার না হয়,
তুই হারালে নিঃস্ব আমি,,পাবো পাগল পরিচয় l
পাগল হলে সবার তরে বলবো, একটি মাত্র কথা,
জুই ছিল মোর জীবন তরী, তার জন্যই এই ভুবনে আসা l
জুই জ্বালালো জীবন প্রদীপ, জুই নিভালো সব,
জুই এর জন্য থেমে গেল জীবন কলরব l
(***শব্দহীন***)

Friday, July 27, 2018

কবিতা


***the games of Musa and Allah***
👍        লেখা=-আল-মামুন
        (ইসলামিক বই পড়ে করলাম )
একদা একদিন মূসা নবী ধরলো যে আবদার.
তোমায় আমি দেখবো প্রভু, ছাড়বো নাকো আর l
আল্লাহ বলে মুসা এটা ছেলে খেলা না.
তোমায় যে চক্ষু দিয়েছি, ওটা দিয়ে আমায় দেখা যাবে না l
মূসা নবী জেদী পুরুষ, ছাড়ার পাত্র না,
আল্লাহর কথা মূসা নবী শুনতে চাইছে না l
অনেক বুঝার পরেও যখন মূসার কমছে না আর জেদ,
আল্লাহ তাকে পরের দিন তূর-পাহাড়ে আসতে হুকুম দেন l
মূসা নবী অনেক খুশি,দেখবে আল্লাহ তালা কে,
সকাল হতেই মূসা নবী ছুটলো তূর-পাহাড়ের দিকে l
আল্লাহ তালা মুসাকে আবার সাবধান বাণীদ্যায়.
মূসা এটা কঠিন খেলা. সহজ খেলা নয় l
মূসা নবী এখন কিছু শুনবে না সে আর,
আল্লাহ কে  দেখবে বলে এক পায়ে সে দাঁড় l
আল্লাহ আর মুসার খেলা এবার শুরু হলো ভাই.
মূসা নবীর চারি সাইড কালো অন্ধকার হয়ে যায় l
চারি দিকে অন্ধকার. মুসা দেখছে না আপন হাত.
অন্ধকারে বিন্দু মাত্র শব্দ নেই কো কারো,
আল্লাহকে সে দেখবে বলে ভয় ধরেনা তারও l
আল্লাহ আবার মুসার চারিদিক আলোকিত করে দেন..
আরো কিছু কাজ বাকি আছে. সেই গুলো করে নেন l
আল্লাহ বলেন মূসা এটা তোমার আমার খেলা,
তোমার সাথে অন্য কোনো প্রাণী থাকতে পারবে না..
আল্লাহ তালার হুকুম মত চার ফার্সা জায়গা মাঝে এখন কোনো প্রাণী নেই.
আল্লাহ এবার মুসাকে আকাশ পানে তাকার হুকুম দিয়ে দেন l
আল্লাহ তালা হুকুম মত মূসা আকাশে পানে তাকালেন ,
একে একে সাত আসমান দেখতে আরম্ভ করলেন l
সাত আসমান পর মূসা নবী '' সিদরাতুল মুনতাহা'' দেখতে পেলেন l
সেখানে তে চারটি নদী/ঝর্ণা আছে প্রবাহমান বেশ l
দুই নদী জান্নাতে আর দুই দুনিয়ায় প্রবেশ l
মূসা নবী আবার দেখা শুরু করলেন,
এর পরেই তিনি কুরআন এর বাড়ি '' লাওহে মাহফুজ'' দেখতে পেলেন l
'' বাইতুল মামুর'' তারপরে তিনি দেখতে পান l
যেটা হল ফেরেস্তাদের নামাজের স্থান l
মূসা নবী অনেক কিছু দেখতে পেয়েছেন.,
কিছুক্ষণ হয়তো তিনি আল্লাহ কে দেখবেন l
নজর তাহার ঊর্ধ্বমুখি দেখছেন আকাশের সবি ,
কিছুক্ষণ পর দেখতে পেলেন আরশ্ কুরশি
আল্লাহ তালার খুব নিকটে মূসার দৃষ্টি এসে গিয়েছে.
আল্লাহ তালার সত্তর হাজার নূরের পদ্দা মূসা দেখতে পাচ্ছে l
আল্লাহ তালা বললো মূসা এটা শেষ গেটে এসে গিয়েছো,
দেখবে নাকি ফিরে যাবে এখনো ভাবো.
মূসা নবী বললো খোদা যখন এত দূর দেখে আসতে পেরেছি,
দেখবো তোমায় ফিরবো না আর, দেখা দাও বলছি l
আল্লাহ মুসাকে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে বললেন,
আল্লাহর কোথায় মূসা অনেক শক্ত হয়ে দাঁড়ালেন,
আল্লাহ নিজের কিঞ্চিৎ নূরের ঝলক তুর-পাহাড়ে দিলেন.
এতেই মূসা জ্ঞান হারিয়ে পাহাড়ের উপরে পড়লেন.
কি দেখলেন আল্লাহ সেটা মূসা দ্যাখেন নাই ..
প্রমাণ হল আল্লাহ্‌ কে এই দুনিয়ায় দেখা নাহি যায় l
(আসলে এটা মাথায় আসলো তাই লিখে নিলাম
কোনো ধর্ম নিজে লিখি নি... কেউ এটা খারাপ ভাবে নিবেন না)
(***শব্দহীন***)

Wednesday, July 25, 2018

কবিতা


(***আমি টোকাই বলছি ***)
👍 লেখা -=-আল,-মামুন
জন্ম আমার পুকুর পাড়ে, পলিথিন এর ঘরে.
কিছু দিন পর মায়ের জীবন নিলো কালা জ্বরে।
মায়ের মরার সময় নাকি আমার বয়স,, ছিল 21 দিন,
দুধ না খেয়ে মরবো নাকি.এই ভাবনায় বাবার ছুটলো নীনl
নিজের কথা নেইকো মনে, বাবা ছুটছে সবার ঘরে,
.... ইঞ্চি দুধের আশায়.
যেটা খেলে হয়তো খোকা যদি বেঁচে যায়..
দিন শেষে আজ বাবা খুশি. পেলো দুধের খোঁজ,
আমিনা খালা নাকি আমায় দুধ খাওয়াবে রোজ l
সে দিন হতে আজ অবধি আমিনা আমার মা...
তার খোঁজ দিয়ে বাবা  কোথায় হারিয়ে গেলো,কেউ খুঁজে পেলো না...
প্রথম আমি মা হারালাম.. গেলো পরে বাবা..
পৃথিবীতে আগমনেই শুরু আমার কষ্টের জীবন ধাঁধা l
পাঁচ বছরে পেলাম আমি একটা নতুন কাজের খোঁজ..
সারা দিন বোতল কুড়িয়ে একটা বস্তা করতে হবে বোঝ l
সেই হতে আজ অবধি টোকাই আমার নাম,
বোতল কুড়িয়ে অর্থ জোগাড় এটাই আমার কাম l
সারা দিনে কুড়িয়ে বোতল অর্থ সেটা পায়,
আমিনা মাকে দিলে পাবো রাতে শুয়ার ঠাঁই l
খাবার খেতাম বসি পঁচা, কুড়িয়ে অনেক কিছু,
এই গুলোতেও ভাগ বসাতে কুকুর নিতো পিছু l
আমরা টোকাই কুড়িয়ে খাওয়া মোদের পেশা ভাই,
এই কাজ করেও আমরা কেনো চোর উপাধি পায় l
কত মানুষ মারলো লাথি, বিনা দোষে চর বা ঘুষি.
পুরো দেহ ব্যাথায় কাতর. কাজের ক্ষমতা নাই..
তবুও কাজ করতে হবে. নয়তো ঘুমের জায়গা নাই l
এই ভাবে আজ জীবন হতে 30 বছর পার,
Office time করছি গল্প. সবই আমার দিকে চাই.l
টোকাই থেকে আজ কে আমি বড় অফিসার.
করিম কাকার দয়ার ফলে পড়ার সুযোগ পায় l
এই তো সেদিন ব্যাগটি কুড়িয়ে পেলাম তখন ভরদুপুর.
ব্যাগ খুলে দেখি ব্যাগ তো পুরো টাকায় ভরপুর l
ফেরত দিবো এটা যার ব্যাগ, কষ্টে তাহার উপার্জনের অর্থ আছে সব..
আমি জানি টাকার মায়া. একশো টাকার জন্য আমি পাইনা খেয়ে রোজ .
তবে যার ব্যাগ তার কি হবে ছোটন একটু বোঝ l
ব্যাগের পাশে কিছু কাগজ দেখতে আমি পায়,
মাসুদ মামার কাছে দৌড়ে  সেগুলো নিয়ে যায় l
মাসুদ মামা পড়ে দেখে, এটা করিম মুর্শেদ সাদিক,
বাসা তাহার সল্টলেকে, টিভি চ্যানেলে মালিক l
গিয়ে তাকে সালাম দিলাম. ব্যাগের কথা জানিয়ে দিলাম.
আমার এমন উদারতায় তিনি খুশি হয়.
তাহার বাসায় থাকার হুকুম আমি পেয়ে যায় l
লেখা পড়া করতে আমায় ভর্তি করা হয়.
ভালো কিছু হবার আশায় সামনে পা বাড়ায়.
MD পদে আজকে আমি ওই চ্যানেল এর boss.
ইচ্ছে আছে টোকাই নিয়ে করবো কিছু কাজ,l
আমি জানি টোকাই নামক জীবন মানে কি,
মা বাবা আর খাদ্য ছাড়াই তাদের জিন্দেগী l
(****শব্দহীন****)

Monday, July 23, 2018

কবিতা


(****দুই সালিকের ঘর****)
👍 লেখা -=-আল,-মামুন
একটি রাতের সমাপ্তি ঘটে আসলো আবার ভোর ,
নাম না জানা কোটি প্রাণের কাটলো ঘুমের ঘোর l
ঘুম শেষে ভাই কেউ বা যাচ্ছে মসজিদে. মন্দিরে,
কেউ বা আবার স্বপ্ন করে যাচ্ছে কক্সবাজারে l
ঘুম শেষে কেউ খাবার খেতে যাচ্ছে রেস্তোরাঁ তে,
কেউ বা আবার পান্তা খেয়ে যাচ্ছে কাজের খোঁজে l
কাউরো সকাল হাজার টাকার খাদ্যে শুরু হয়,
কেউবা আবার পাঁচ টাকার জন্য কাজে হেঁটে যাই l
কাউরো অনেক সম্পত্তি তাই মিঞা নামে পরিচয়...
কেউ বা আবার ভিক্ষা করায় এই উপাধি পাই l
কেউ করেছে কোটি টাকার VIP এক বাড়ি...
কাউরো সম্বল বলতে শুধু একটা ঠেলা গাড়ি ।
খোদা তোমার আজব খেলা বুঝা বড় দায়,
কাউকে কোটি টাকার ভাগ্যে দিলে, কাউকে গো ভিক্ষায় l
সবাই তোমার ইশারাতে আসলো এই জগত দ্বারে,
বাজলো কারো আল্লাহ আকবর,কাউরো উলুধ্বনি কানে l
প্রভু তুমি দিলে সবার এক রকমই প্রাণ..
তবে যেনো জগত জুড়ে এতো ব্যবধান l
কোটি কোটি ব্যবধানে জগত তো ভরপুর,
ভাবনা আমার জগত মাঝে এতো কেনো ব্যবধানে ভরপুর l
ভাবনা তরে ভূবন ঘুরে দেখতে আমি পায়,
কেউ রয়েছে রাজার হালে, কেউ থাকে রাস্তায় l
রাস্তার ধারে অনাহারে পরে থাকে পুরো দিন,
রাতের বেলা মশার কামড়.. নেইকো চোখে নীন।


লেখা =- আল মামুন


Wednesday, July 18, 2018

কবিতা


        ::::::(***বিবেক***)::::::
  👍 লেখা =- আল মামুন
খোকা আজকে অনেক বড়,হাই প্রোফাইল বয়,
লক্ষ টাকার চাকরি করে. দামী ফ্ল্যাটে রই.
তার তো সুন্দর ওয়াইফ আছে,নিউ মডেলের গাড়ি আছে.
পার্টির নামে করছে নষ্ট হাজার টাকা ব্যয় l
বৌ যেনো তার প্রাইম মিনিশটার, শুনতে হবে সবি .
বাড়ির পুরো কাজ শেষ করতে হবে,উঠার আগেই রবি,
বৌ যেনো তার সোনার প্রদীপ. আলোই ভরপুর,
তাই তো একদিন বৌ এর কথাই, মা কে করে দূর l
মাদার নামক মায়ার বাঁধন. হঠাৎ গেলা ভুলে,
তাই তো সে দিন মাকে ফেলে কোথায় গেলা চলে l
ফাস্ট লাইফে মাকে রাতে হাজার কষ্ট দিলে .
জব এন্ড যৌবন পেয়ে কেনো তাকে ই ভুলে গেলে l
ভেবে দেখো শীতের রাতে মায়ের ত্যাগের কথা,
প্রসব ভেজা কাপড়ে রাত কাটালো.নেই কো মাথা ব্যাথা l
তোমার হ্যাপি মোমেন্ট গুলোই ছিল মায়ের সব,
তোমার দিকে চেয়ে ভুলে যেতো হাজার কষ্ট সব l
বৌ এর কোথায় বৃদ্ধ মাকে দিলে বৃদ্ধাশ্রমে বাস.
যে মা তোমায় খাবার খাইয়ে,থাকতো গো উপাস l
মা হলো তোর আপন মানুষ,মা হল পৃথিবী,
মায়ের দোয়ার নিচে. এই দুনিয়ায় সবি।
আল্লাহ্‌ যদি তাহার পরে, কাউকে,সিজদার হুকুম দিতো,
নিশ্চয়ই তবে সেটা একশো পার্সেন্ট মা আর বাবা হতো l
মায়ের কষ্টে মহান প্রভুর আরশ কেঁপে যায়,
তবে কোন সাহসে মাকে তুমি কষ্ট দিচ্ছ ভাই I
আজ হতে তাই শপথ নিলাম, মা-বাবাকে কষ্ট দিবো না,
মা-বাবা নিয়ে গড়বো মোরা সুখের ঠিকানা.... I
(***শব্দহীন***)

Tuesday, July 17, 2018

(****(সময়ের পার্থক্য) ****)




***সময়ের পার্থক্য ***
      লেখা=-=আল-মামুন 
               1st পার্ট 

বাইরে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে.... আমি নিজেকে আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ আর প্রিয় বিছানার সাথে অনুভব করলাম.. আর অনুভব করলাম আমার দুই প্রিয় জিনিসের মধ্যে আমি অবস্থান করছি... মানে হল আমার প্রিয় বিছানার বুকে আমার মাথা এবং আরেক প্রিয় মানুষের মাথা আমার বুকের মধ্যে... আমি এবং আমার দুই প্রিয় গত  4 বছর যাবত এই ভাবে প্রতি রাত অতিবাহিত করছি.... কারণ আমার প্রিয় মানুষটার নাকি আমার বুকে মাথা না রাখলে ঘুম আসে না.... আমি ও অনেক এটা enjoy করি.. হাজার হলেও আমার একশ না পঁচিশ না মাত্র একটাই প্রিয় মানুষ .... Ohh sorry আপনাদের to বলাই হল না আমার প্রিয় মানুষটি কে... আমার প্রিয় মানুষটা হল আমার বৌ.... আমাদের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হলেও এটা আমাদের love marred..... আমার লক্ষী বৌ এর নাম হল সানজিদা আক্তার.... সানজিদার সাথে আমার পরিচয়. ভালোবাসা. ভালোলাগা খুব সহজে শুরু হয় নি... 6 বছর আগের কথা.. আমি সবে hight secondary মানে H. S. C পাস করে সম্মানে মানে অনার্স এ ADMISSIONS নিবার জন্য FROM পূরণ করবো তাই আমার রুমে আমার COMPUTER এর সামনে বসে আছি. NET অনেক স্লো কাজ করছে.. অনেক TIME লাগবে.কিছু করার নেই...অনেক time দরকার কারণ আমার সাথে আমার আরো 9 জন বন্ধুর করতে হবে ... হঠাৎ আম্মার নীচতলা হতে ডাক....
আম্মা:ছোটন, ছোটন, কিরে আমার কথা তোর কান অবধি যাচ্ছে না নাকি. ছোটন, ছোটন, (কিছু সময়ের বিরতি) এই ছেলেটাকে আর আমি পারবো না. যতো দিন যাচ্ছে, যতো বড় হচ্ছে মনে হচ্ছে বাদর তৈরি হচ্ছে.. ছোটন, ছোটন, (আমি আর না হেসে পারলাম না)
হাসি 😊 মুখে আম্মার ডাকে সাড়া দিলাম
আমি :হাহাহাহা, JI আম্মু বল কি বলছো?
আম্মা :বলি হাসা হচ্ছে... আমাকে রাগানো হচ্ছে তাই না .নিচে এসে আমাকে একটু সাহায্য করলেও তো পারিস.... কিছু কাজ করতে না পারলেও অন্তত কলিং বেলের শব্দের পর দরজা খুলে দিলেও আমার উপকার হয়।বেলটা 5 মিনিট ধরে বাজছে
আমি আর কিছু বললাম না সোজা নিচে নেমে গেলাম. আম্মা রান্না ঘরে কি যেনো  করছিল. আমি আম্মুর পাশে গিয়ে দাঁড়াতেই বললো.....
আম্মা :তোকে না বললাম দরজা খুলে দিতে এখানে আসলি যে.... আমি কিছু না বলে সোজা sorry sorry বলতে বলতে দরজা খুলে দিলাম... দরজা খুলে দিতেই কে যেনো আমাকে জড়িয়ে ধরলো আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই... আমার জীবনে এই প্রথম কেউ আমাকে এই ভাবে জড়িয়ে ধরলো, আমার চোখ বন্ধ... সব যেনো অন্য রকম হয়ে গেছে... রান্না ঘর হতে আম্মার ডাক
আম্মা :ছোটন কে আসলো... ? কিন্তু a কি... আম্মার রান্না ঘর থেকে আওয়াজ আসতেই.. আমার দেহ হতে জড়িত বস্তু সরে গেলো.. আমি আমার চোখ খুলতেই আমার সামনে পরীর মতো একজন কে দেখতে পেলাম... কি অপরূপ সৌন্দর্য তার.. যেনো সৃষ্টিকর্তা তাঁকে সারা পৃথিবীর রূপ দিয়ে তৈরি করেছে.... আমার যেনো সব অন্য রকম লাগছে.....আমি তার দিকেই তাকিয়ে আছি... কোনো জ্ঞান নেই আমার... পিছন থেকে আমার শার্টের টানে স্বাভাবিক এ ফিরে আসলাম,
আম্মা :তুই কি রে... বাসায় মেহমান এসেছে এর তাদের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিস... সাইড দে... আসেন ভাবি আসেন.... কেমন আছেন সবাই...?
আমি সামনে তাকিয়ে দেখি বাইরে 4 জন মেহমান দাঁড়িয়ে আছে. সাথে আব্বু ও দাঁড়িয়ে. আমার জন্য ভিতরে কেউ আসতে পারছে না. আমি সরে যেতে সবাই ভিতরে ঢুকে আসলো... আমাকে এড়িয়ে মেয়েটি ও ভিতরে আসলো.. তবে লজ্জায় লাল হয়ে গেছে....
আম্মা :ভাবি, আসতে কোনো সমস্যা হয়নি তো আপনাদের?
আম্মার ভাবি :না না ভাবি কোনো সমস্যা হয়নি..আর হবে কেনো দাদা যে ভাবে আমাদের গ্রহণ করে নিয়ে আসলো
রাস্তা পুরো গল্প করতে করতে আসলাম...
আম্মা :আর বলবেন না মানুষটা এই রকমই..শুধু গল্প করতে পছন্দ করে. কি বলবো যদি গল্প করতে পাইনা তবে খাবার কথা ভুলে যাই ...! (সবার এক সাথে হাসি)
আম্মার ভাবি :আচ্ছা ভাবি ছোটন কোথায়.. ?( এই রে আমার কথা হচ্ছে দেখছি) ....
আম্মা :আপনি পাগলা তাকে দ্যাখেন নি.?আরে দরজা খুললো ওটাই তো আমার ছেলে... ( আন্টির মানে আম্মার ভাবির হাসি শুরু)
আম্মা : কি হল ভাবি হাসছেন কেনো?
আন্টি :হাহাহাহা ভাবি হাহাহা. কি বলবো রাস্তায় আমার মেয়ে বললো আপনাকে সারপ্রাইজ দিবে... তার সারপ্রাইজ হল আপনাকে চমকে দেয়া... আপনি দরজা খুলে দিবেন আর ও আপনাকে জড়িয়ে ধরবে... কিন্তু আপনার জায়গাতে আপনার ছেলে চলে এসেছে আর কি (সবাই একসাথে হাসি) শুধু লাজুক মেয়েটি ছাড়া..আমি এতোক্ষণে বুঝলাম.. কেনো মেয়েটি আম্মার ডাক পেয়ে আমাকে ছেড়ে দিয়েছিলো... আমি মনে মনে বললাম আম্মা আমি তোমাকে রাগাই  বলে এত বড় প্রতিশোধ নিলে আর কিছুক্ষণ পরে কথা বললে কি হতো.....ইস
 (চলবে.........)

Monday, July 16, 2018

*****পিপড়া ও ছোটনের গল্প ******




*****পিপড়া ও ছোটনের গল্প ******
লেখা =---আল-মামুন (****শব্দহীন****)


তিন অক্ষরে একটি সংক্ষিপ্ত বাক্যের উৎপত্তি হয়.. আর বাক্যটির নাম  হল জীবন....জীবন হলো আসলে একটি মায়া.. যেটা মানুষের প্রিয় বস্তু..
আজ হতে ঠিক ২২ বছর আগে এই বাক্যের সাথে সম্পর্ক করে পৃথিবীতে এসেছিল ছোটন নামের একটি ছেলে l
দেহের গঠন ছিল একদম পাতলা,উচ্চতা ছিল ছোট গড়নের l
আজকে ছোটন, জীবন নামক মায়া হতে বিদায় নিয়েছে....
এই তো গতকাল রাতে ছোটন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলো.. বাজী ধরে তরল জাতীয় কিছু ইচ্ছে মত খেয়ে বাসায় ফিরলো।ছোটন কি জানতো আজকে তার জীবনের শেষ রাত...আর শুধু ছোটন কেনো, পৃথিবীর কোনো প্রাণীর বুঝার কোনো ক্ষমতা নেই, তার মৃত্যু কবে আসবে...
প্রতিদিনের মতো আজও ছোটনকে সকাল 09.00 am পর্যন্ত কেউ ডাকে নাই... কারণ বাসার সবাই জানে ছোটন সকাল ৯. ০০ না বাজলে উঠবে না... আগে তার বাবা ফজরের নামাজ পড়তে ডাকতো, কিন্তু ছোটন বাবার ডাকে একটাই উত্তর দিতো... ছোটন উত্তরে বলতো... বাবা সকলের ঘুম তা নষ্ট করে তুমি কি মজা পাও বলো তো... জীবন তো কেবল শুরু হলো.. নামাজ পড়ার অনেক টাইম পাবো বাবা, জীবন তো কেবল শুরু হল.. আগে কিছু দিন enjoy করি.. বাবা আর এখন ডাকে না... জেনে গেছে ছোটন কি বলবে....
আজ সকাল ০৯.০০ বেজে গেছে.. কিন্তু ছোটন ঘুম হতে উঠছে না... অনেক ডাকা ডাকি করার পর ও কোন উত্তর না পেয়ে বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকলো সবাই....
সবাই দেখলো সুন্দর দেহের মানুষ টি নিজের বিছানায় শুয়ে আছে...কিন্তু কথা বলছে না কেনো... কিছুক্ষণ মা বাবা ভাই বোন.. সবাই তার ঘুম ভাঙ্গার ব্যার্থ চেষ্টা করলো কিন্তু কোনো লাভ হল না.. সবার আর বুঝতে বাকি রইলো না. ছোটন আর মায়ার পৃথিবীর ঘুমে ঘুমিয়ে নেই.. সে অন্তিম ঘুমে আচ্ছন্ন....
এখন কিছুক্ষণ আত্মীয় স্বজনের প্রিয় বস্তু হারানোর কান্না শুরু হবে.... কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিন এটা চলবে...
সময় অনেক সংক্ষিপ্ত..
কয়েক জন মানুষ ছোটনকে গোসল দিবার জন্য নিয়ে বাইরে গেলো...
আসতে আসতে সব পরণের কাপড় খুলে ফেলা হচ্ছে....কিছুক্ষণে মধ্যে গোসল আরম্ভ হবে.....হ্যাঁ গোসল শেষ হলো...
ছোটনকে সাদা কাফনে মোড়ানো হল,এই পৃথিবীর কোনো দামী বস্তু ছাড়াই.... ছোটনের কাফনে মোড়ানো দেহে কোন পৃথিবীর বস্তু নেই.. কিন্তু একটা
পিপড়া ছোটনের দেহে রয়ে গেছে... পিপড়াটি ছোটনের নরম শরীরের মধ্যে কামড় দিচ্ছে.. কিন্তু ছোটন তাকে প্রতিহত করার কোনো ব্যবস্থা করছে না.. এটা দেখে
পিপড়াটি কামড় দেওয়া থামিয়ে দিলেন....
এখন পিপড়া ও ছোটন দুই জনেই চুপ কেউ কথা বলছে না...
পিপড়া মহোদয় ছোটনের কথা বলার কোনো লক্ষণ না দেখে নিজেই বলতে শুরু করলেন ...
কি খবর তোমার..আজ তুমি আমার সাথে মোকাবেলা করছো না কেনো... কোনো কথা বলছো না আজকে ... আজ তুমি চুপ কেন.. কি হলো আজ তোমার..
--তোমার সব ক্ষমতা কোথায় গেলো, যে ক্ষমতার  অধিকার আল্লাহ তোমাকে দান করেছিলো...
--কোথায় তোমার ক্ষমতা, যার সাহায্যে তুমি পৃথিবীর বুকে নেতাগিরি করতে...
--কোথায় তোমার সেই ক্ষমতা যেটার সাহায্যে তুমি সারা রাত মোবাইল ফোনে  মেয়ে মানুষের সাথে কথা বলে কাটিয়ে দিতে, যেটা কিনা আল্লাহ তোমাকে বিশ্রাম নিতে প্রদান করেছিলো.. কিন্তু তুমি সেই সময়  কথার সাগরে ডুবে থাকতে.. আর যেই সময় আল্লার তোমাকে তার ইবাদাত করতে প্রদান করলো সেই সময়ে তুমি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকতে.....
---কোথায় তোমার সেই ক্ষমতা,যেটার সাহায্যে তুমি আমার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতে... ও ভাই তুমি মানুষ ছিলে, আমি ছিলাম একটা কীট জাতীয়
পিপড়া.,,তোমার শক্তি অনেক বেশী তাই তোমাকে আমি কখনো পেরে উঠেনি... প্রতিবার আমি যুদ্ধে পরাজিত হয়েছি,কিন্তু আমি হাল ছাড়ার পত্র নয়,আমি শপথ গ্রহণ করে ছিলাম তোমাকে একদিন পরাজিত করব.... আজ সুযোগ পেয়েছি আমি আজ তোমাকে ছাড়বো না....
কিন্তু পিপড়া মহোদয় ছোটনেকে কোনো আঘাত করলো না.. নিজের চোখের পানি ছেড়ে আল্লার কাছে ছোটনের জন্য দোয়া করতে শুরু করলো...
পিপড়া বলতে শুরু করলো "হে আমার প্রভু..আজ কে যে মানুষ টি, মানুষ নাম পাল্টে লাশ নাম গ্রহণ করেছে,ওর ঘরের এক কোণে আমার বাস ছিল... আমি তার সব কিছু দেখেছি...তার সব কাজের জন্য তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি.. ওকে  ক্ষমা করে দাও....
ছোটন আজ পিপড়ের কথায় অনেক ব্যথিত.. ইস্ আর কিছু দিন আগে যদি তোর সাথে আমার কথা হতো... হয়তো আমার সব পাপের জন্য ক্ষমা আবেদন করতে পড়তাম....
সময় শেষ... ছোটনকে তার আপন ঘরে রাখতে কবরস্থানের দিকে সবাই অগ্রসর হল...
পিপড়া আকাশ পানে তাকিয়ে. বললো এটাই বুঝি  জীবন ........
(***সমাপ্ত***)
(পুরো কাল্পনিক)
(****শব্দহীন*****)

Saturday, July 14, 2018

কবিতা




****সত্যের সন্ধানে ******
লেখা =--আল-মামুন (****শব্দহীন*****)

এক পৃথিবী, এই দুনিয়ায় , সবার, এক রকমই শ্বাস...
কিন্তু হাজার ধর্মের মানুষ, ইহাই, করছে বসবাস.!
কেউ বা যাচ্ছে মসজিদে আর কেউ বা মন্দিরে,
কাউরো বিশ্বাস আল্লাহ, আর কাউরো ঈশ্বরে।
এক পৃথিবী, এই দুনিয়ায় , নানান রকম ভাষা,
হিন্দী. উর্দু. ফার্সি. কিংবা বাংলা ভাষায় ঠাসা l
ভাষা সবার ভিন্ন তবে, অর্থ সব এ্যাকি,
ইংলিশে যা WOMAN সেটা বাংলায় মানবী l
এক পৃথিবী, এই দুনিয়ায়, হাজার গায়ের রং,
কেউ বা সাদা.. কেউ বা কালো,কেউ  হল ধূসর l
এক পৃথিবী, এই দুনিয়ায়, হাজার জ্ঞানের ধার ,
কেউ বা প্রবল, কেউ বা তুখোড়, কেউ বা যাযাবর l
এক পৃথিবী, এই দুনিয়ায়, হাজার বাড়ির বেশ,
কাউরো বাড়ি একশো তালা, কাউরো খরের লেস l
কাউরো আছে গাড়ির সারি,কাউরো বা সাইকেল,
কেউ  বাজাচ্ছে দামী হর্ন আর কেউ বাজাচ্ছে বেল l
এক পৃথিবী,এই দুনিয়ায়, পার্থক্যে ভরপুর,
সকাল থেকে পরের বেলা নিশ্চয়ই আসবে গো দুপুর l
এই পার্থক্যের বেড়া জালে মোরা সবাই বৃদ্ধমান,
জীবন-মৃত্যু এই পার্থক্যের দিচ্ছে ইতি টান l
জীবন-মৃত্যু সবার জন্য একই রকম ভাই,
জীবন-মৃত্যু থেকে রেহাই পাবার কেহ নাইl
জীবন দিয়ে শুরু সবার, মৃত্যু দিয়ে শেষ,
জীবন-মৃত্যু মাঝে হলো পার্থক্যের প্রবেশ.l
সত্যের সন্ধানে এটা আজকে প্রমাণ হলো সেই,
পার্থক্য ভরা সবকিছুই,, তবে জীবন-মৃত্যুয় নেই "!!!!!
(****শব্দহীন*****)

আমি আমার মত

সাধারণ একটা ছেলে আমি... গল্প কবিতা লিখতে
অনেক ভাল লাগে =আল-মামুন 

কবিতা


                         ****জীবন ****
                    লেখা :--আল-মামুন(শব্দহীন)
শিশু হয়ে জন্ম আমার,
             বৃদ্ধ হয়ে শেষ l
এই সময়ের মধ্যেই কত,
        রূপ ধরেছি বেস l
জীবন নামে রেলগাড়ী আজ স্টেশনে দাঁড়,
এত পাপের বোঝা নিতে পারছে না সে আর l
নিষ্পাপ হয়ে আসলাম ভবে,
                পাপী হয়ে যাবো l
জীবন নামক জিনিষ তা কি,
          খুঁজে কি আর পাবো l
বন্ধু, বান্ধব, আত্মীয় স্বজন কেউ তো কারো নয়,
        ক্ষণিকের এই দুনিয়ায় তো সবই অভিনয় l
সবার জন্য করলাম সব, নিজের জন্য কি,
জীবন মৃত্যুর সন্নিকটে আজ এটাই তো ভাবছি l
রুনা মিজান বাসার সোহান  ভালো থাকিস  সাবরিন,
       জীবনের বাকি সময় টুকু শেষ হবার আজ দিন l
   বিদায় বেলা ইচ্ছে জাগে করতে নানান কাজ,
  মামুন নামক জীবন প্রদীপ নিভে গেলো আজ l
(উৎসর্গ----আমার সকল বন্ধু-বান্ধবীদের )
(****শব্দহীন****)

কোনো ব্যক্তি বা কোনো দলকে আঘাত করার জন্য আমি রাজনীতিতে আসছি না=-মাশরাফি

সবুজে ভরপুর সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশ l সুবহে সাদিক তথা ফজরের আজানের সাথে সাথে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের কর্মের উদ্দেশ্য...

www.mamunchotonbd.blogspot.com