Tuesday, November 27, 2018

কোনো ব্যক্তি বা কোনো দলকে আঘাত করার জন্য আমি রাজনীতিতে আসছি না=-মাশরাফি


সবুজে ভরপুর সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশ l সুবহে সাদিক তথা ফজরের আজানের সাথে সাথে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের কর্মের উদ্দেশ্য এগিয়ে চলে আপন গতিতে l ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই মিলে মিশে কাজ করে l কেউ মালিক কেউ বা শ্রমিক. কেউ চাকরিজীবী  কেউ কৃষক সবাই মিলেমিশে একসাথে বসবাস l এক কথায় আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ অন্যতম l

তবে এগুলো ছাড়িয়ে কিন্তু বাংলাদেশের আরেকটি পরিচয় রয়েছে l সেটি হল বিশ্বের ইতিহাসে ক্রিকেট পাগল জাতি হিসাবে সবচেয়ে কোনো জাতি এগিয়ে রয়েছে যদি প্রশ্ন করা হয় তবে বাংলাদেশের জনগণের নাম প্রথম সারিতে আসবে l

বাংলাদেশের জনগন সব সময় জাতি, বর্ণ, ধর্ম, রাজনৈতিক দল এগুলো ভুলে সবাই একসাথে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টিমকে সাপোর্ট করে যাচ্ছে অবিরাম l

বাংলাদেশের জনগণ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টিমের সকল ক্রিকেটারকে সমানভাবে ভালোবাসলেও
মাশরাফিকে অন্যরকমভাবে সকলেই ভালোবাসে।
পুরো বাঙ্গালী জাতি মাশরাফি ভক্ত l

তবে বর্তমানে মাশরাফি ভক্ত  দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে l এর কারন কি..?

মাশরাফি বিন মর্তুজা, বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসের একটি উজ্জ্বল নক্ষত্র l তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। তাঁর রাজনীতিতে অন্তর্ভূক্তি নিয়ে সরগরম দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নড়াইল-2 আসনে মনোনয়ন পেয়ে এমপি পদে নির্বাচন করছেন মাশরাফি l
মাশরাফির নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে বর্তমানে দেশের মানুষ দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে।নির্বাচনের পক্ষে এক দল অন্যদিকে বিপক্ষে এক দল। যে যার মতো যুক্তি তোলে ধরছে মাশরাফির নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে l

গতকাল সামাজিক যোগাযোগ  মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ফ্যান পেজে রাজনীতি আসা নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন মাশরাফি । সেখানে দেখা যার মাশরাফি কে নিয়ে যে যার মতো কথা বলেছে l মাশরাফির সেই পোস্টটিতে প্রায় ১০৮  হাজার লাইক , ৩৭ হাজার কমেন্ট ও ২০ হাজার শেয়ার হয়েছে।

নিচে মাশরাফি তার ফ্যানপেজে যা লিখেছিলেন এবং দেশের মানুষ কি রকম প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছিলেন তা হুবহুব তুলে ধরা হলো =-

২০০১, ক্রিকেটের আঙিনায় পথচলা শুরু। আজ ২০১৮। এই প্রায় দেড় যুগে ক্রিকেট যা খেলেছি, জীবন দিয়ে খেলেছি। কখনও আপোস করিনি। আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত আপোস করতেও চাই না। বাকিটা মহান আল্লাহর ইচ্ছা।

রাজনীতির তাড়না আমার ভেতরে ছিলই। কারণ, সবসময় বিশ্বাস করেছি, রাজনীতি ছাড়া দেশের উন্নয়ন জোরালোভাবে সম্ভব নয়। ক্রিকেট খেলেছি, আপনাদের ভালোবাসা পেয়েছি। নাহলে হয়তোবা ২০১১ সালেই হারিয়ে যেতাম। এই মাশরাফিই হয়তো এতদিনে থাকতো না। ২০১১ সালে আপনাদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি, তা আমাকে এই সাত বছর চলতে সহায়তা করেছে। এবার আমার সামনে সুযোগ এসেছে আমার দেশের মানুষের জন্য কিছু করার। বিশ্বকাপের পরের সাড়ে চার বছর আমার জন্য কী অপেক্ষায় আছে, সেটাও জানি না। তাই আমি সময়কে মূল্যায়ন করেছি। সময়ের ডাক শুনেছি। কারণ আমি বিশ্বাস করি, সময়ের কাজ সময়েই করা উচিত।

বঙ্গবন্ধুকে দেখার সৌভাগ্য হয়নি, কিন্তু তার কথা জেনে, উপলব্ধি করেই বেড়ে উঠেছি। পড়াশোনা করে, অনেকের কাছে শুনে যতটুকু জেনেছি, সেসব থেকেই উনাকে হৃদয়ে ধারণ করেছি। অার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পারিবারিকভাবেই অামার অস্থি-মজ্জায়, মননে-মগজে।
এখন বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে উন্নয়ন কাজ করছেন, তার সারথি হয়ে আমার এলাকার জন্য কিছু করতে চাই। এটা যদি করতে না পারি, তাহলে আমার কাছে মনে হবে, আমার এলাকার প্রতি আমি মোটেও সুবিচার করছি না। বঞ্চিত করছি। ক্রিকেট খেলতে খেলতে  সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে যতটুকু সামাজিক কাজ করেছি; আমার মনে হয়েছে, সেটুকুই যথেষ্ট নয়। আরও বড় পরিসরে করার সুযোগ খুঁজেছি সবসময় এবং রাজনীতি আমাকে সেই সুযোগটা করে দিচ্ছে।

কোনো ব্যক্তি বা কোনো দলকে আঘাত করার জন্য আমি রাজনীতিতে আসছি না। যে যার আদর্শ নিয়ে সুন্দর জীবন-যাপন করবে, পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধে সহনশীল ও সহযোগিতাপূর্ণ রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিরাজ করবে, সেটিই আমার চাওয়া।

অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, আমাদের মতো মানুষ কেন রাজনীতিতে আসবে! সত্যি বলতে, আমি জানি না, আমি কেমন মানুষ। ভালো মানুষ হিসেবে আমার যে পরিচিতি ছড়িয়েছে, সেটাও আমার ভেতর বারবার প্রশ্ন জাগিয়েছে, কেন আমি ভালো মানুষ? দুটি বল করে, আপনাদের কয়েকটি আনন্দের মূহুর্ত উপহার দিয়ে, দু'জনকে জড়িয়ে ধরেই যদি ভালো মানুষ হওয়া যায়, তাহলে স্রেফ এরকম ভালো মানুষ হওয়ার ইচ্ছা আমার কখনোই ছিল না। সত্যিকার অর্থেই আমি কেমন মানুষ, আমার বিশ্বাস, সেটি বিচার করার সময় সামনে। যদি আমি নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারি এবং আমার দল সরকার গঠন করে, তার পর আমার কর্মেই ফুটে উঠবে আমি কতটা ভালো মানুষ।

জানি, বলা যত সহজ, কাজ করে দেখানো তার চেয়ে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু চ্যালেঞ্জটা নিতে আমি পিছপা হইনি। চাইলেই আমি নিজের সহজাত পরিবেশের ভেতর থাকতে পারতাম। কিন্তু আমি স্বপ্ন দেখি, আমার এলাকার মানুষ সমৃদ্ধির পথে অারেক ধাপ এগিয়ে যাক। অালো ছড়িয়ে পড়ুক নড়াইলবাসীর উপর। অামি চাই সমৃদ্ধ নড়াইল। সেই পথে আমার যত কষ্টই হোক, অামি থাকবো অামার প্রিয় নড়াইলবাসীর পাশে।

মনোনয়নপত্র কেনার সপ্তাহখানেক আগে আমার মেয়েকে আমি ব্যাংককের সবচেয়ে বড় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেই সামর্থ্য আল্লাহ আমাকে দিয়েছেন। কিন্তু আমি ভেবেছি, ওই মানুষটির কথা, যে আরও অনেক জটিল রোগে আক্রান্ত হয়েও প্রাপ্য চিকিৎসা পাচ্ছে না। আমি ভেবেছি সেই ছেলে-মেয়েদের কথা, যারা প্রতিভাবান হয়েও মফস্বল থেকে উচ্চশিক্ষার দুয়ার পর্যন্ত যেতে পারছে না। ভেবেছি খেটে খাওয়া সেই মানুষদের কথা, যারা দিন-রাত পরিশ্রম করেও প্রাপ্যটুকু অনেক সময় পাচ্ছে না।

আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সব সচেতন, যোগ্য ও ভালো মানুষের রাজনীতিতে আসা উচিত। অনেকেই হয়তো সাহস করে উঠতে পারেননা নানা কারণে, মানসিক সীমাবদ্ধতায়। আমার মনে হয়েছে, মানসিক বাধার সেই দেয়াল ভাঙা জরুরি। তাই ভেতরের তাগিদ পূরণের উদ্যোগটা আমিই নিলাম। ক্রিকেটের মাঠে দেড় যুগ ধরে তিলতিল করে গড়ে ওঠা মাশরাফির অবস্থান হয়তো আজ অনেকের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে রাজনীতির মাঠে নামার কারণে। কিন্তু আমি নিজে সত্যিকার অর্থেই রোমাঞ্চিত নতুন কিছুর সম্ভাবনায়। আমি আশা করি এমন কিছু করতে পারব, যা দেখে ভবিষ্যতে হাজারও মাশরাফি এগিয়ে আসবে ইনশাল্লাহ।

আমি আবারও বলছি, কোনো ব্যক্তি বা দলকে আঘাত করার ইচ্ছে আমার নেই। কেবল সময়ের দাবি মেটানোর চেষ্টা করছি মাত্র। আশা করি, আপনাদের ভালোবাসা আমাকে এই ইনিংসেও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আপনাদের সমর্থন ও দোয়ায় সিক্ত হতে চাই।


বসের পোস্টের কমেন্ট গুলো যে রকম ছিল =--

(Merza ষ_Hashib)  নামে একজন বলেছে =-

একবনে ১০ টা শুয়োর আর একটা ৫ টা শিয়ালের বাচ্চা  ছিলো,,তো শিয়ালগুলো বড় হয়ে গেলে তাদের মধ্যে সবচেয়ে যে বুদ্ধিমান ছিলো তাকে শুয়োররা নিজেদের দলে নিতে চাইলো,,সেও যোগদান করলো,,কিন্তু ফলাফলস্বরূপ শুয়োরগুলো বুদ্ধিমান হলো না, উল্টো শিয়ালটা শুয়োরদের মতো আচরণ শুরু করলো...
মোরালঃযা বুঝাতে চেয়েছি, ওটাই😶

(যুবাইর মাহমুদ) নামে একজন বলেছে =-

ম্যাশ ভাই আপনি যেই বঙ্গবন্ধুর চেতনা লালন করে বড় হয়েছেন সেই বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে নিজেই আওয়ামীলীগ এর এই অপকর্ম দেখে  আওয়ামীলীগকে ৩ তালাক দিয়ে বিদায় দিতেন।😐

(Shaheb Alom) নামে একজন বলেছে =-

Welcome to politics. I congratulate you personally. But please step down from the cricket team . Don’t politicize our cricket ground. You are a man of integrity. You should keep our ground out of politics best wishes.

(MD. Hafizur Rahaman ) নামে একজন বলেছে =-

মাশরাফি বিন মতর্জা  আর আপনি জাতীয় দলেন জার্তিটা আর পড়বেন না,  বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্তিটা আবেগ ও ভালোবাসার জার্তি! এবং জার্তিটা নিরপেক্ষ,  এখন আর আপনি দলীয় লোক হয়ে গেছেন, এখন আর দয়া করে জাতীয় দলেন জার্তিটা আর পড়বেন না,!!  এখন আর আপনি ১৬ কোটি মানুষের নেতা না, আমরা আপনাকে ১৬ মানুষের নেতা বানিয়েছিলাম, ১৬ কোটি মানুষের আবেগ ও ভালোবাসার জায়গায় আপনি  ক্রিকেট দিয়ে আপনাকে হৃদয়ে স্থান দিয়েছিলাম, ,
আপনার নেতা হবার ইচ্ছা ঠিক ছোট কাল থেকে  আপনি ক্রিকেটার ইমরান খানের মতো একটি  দল গঠন করতে পারতেন, আমরা আপনাকে প্রয়োজনে প্রধানমুন্তী বানাতাম,
আপনি যে ১৬ মানুষের সাথে প্রর্তনা করেছেন?
আপনিই তো সারা বাংলাদেশের নেতা,  আপনার আবার নেতা হবার কি দরকার?
মানলাম আপনি নেতা হলেন, আপনার নড়াইল -০২ আসনে বেশি হলে ৪ লক্ষ মানুষ বসবাস করুক, তার মধ্যে ২ লক্ষ আপনাকে ভোট দিবে,আর বাকী ২ লক্ষ আপনাকে ঘৃণা করবে,,
আর যখন আপনি বল করতে আসবেন তখন, আর মানুষ বা ভারাভাষ্যকারে বলবে, এই নড়াইল -০২ আসনে নেতা বল করলেন এবং আউট!! আপনি যদি সংসদ সদস্য হন, তবে আপনি কি খেলাই বা প্রস্ততিতে বেশি সময় দিতে পারবেন?
ক্রিকেট দিয়ে দেশের প্রতিনিধত্ব করতে পারছেন, আর কি আপনার নেতা হওবার কি দরকার?

(সোহাগ হাসান) নামে একজন বলেছে =-

ম্যাশ একটা অনুপ্রেরণা!
দল টল বুঝিনা একজন সাকিবিয়ান হয়ে বলছি একজন বাংলাদেশ এর ক্রিকেট ফ্যান হয়ে বলছি অাপনি রবেন বুকের ভিতর চিরতরে ম্যাশ! ❤
লেজেন্ড ০২ ♥️

এই রকম ভাবে হাজার হাজার মানুষ নিজেদের অভিমত প্রকাশ করছেন মাশরাফির পোস্টে l
দেখা যাক এর শেষ কোথায়..?

Friday, October 26, 2018

#সিরিজ____গোয়েন্দা_আত্মা 
#অচেনা_লাশ
#আল_মামুন
#রহস্য_গল্প 

#গল্পের_রিভিউ 🕵️‍♂️🕵️‍♂️🕵️‍♂️

কয়েক সেকেন্ড আগে চারিদিকে ফজরের আজান দেওয়া শুরু হয়েছে,
পৃথিবী প্রায় ঘুমে আচ্ছন্ন, হাতে গোনা কয়েকজনের গলার স্বর শুনা যাচ্ছে l নামাজের জন্য মসজিদের উদ্দেশ্যে  বাড়ি থেকে বের হতে কেবল মাত্র শুরু করেছে গুটি কয়েকজন মানুষ l

"" কে কোথায় আছো ছুটে আসো ""

নিশ্চুপ রাত হঠাৎ জেগে উঠে, সবাই ছুটে আসে কন্ঠস্বর অনুসরন করে l

অলস সকাল ব্যস্তপূর্ন হয়ে পড়ে l

লক্ষ মানুষের ভিড় জমেছে মল্লিকা বাঁধে l
সবার সামনে একটি মুন্ডুহীন লাশ, এটা দেখতে লক্ষ মানুষের সমাগম l

ইন্সপেক্টর হারিস ও তার টিম লাশ নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে l
 সবার প্রশ্ন, কে এটা, লাশটি কার. কে মারলো একে, ইন্সপেক্টর হারিস ও বুঝতে পারছে না কি বলবে l

লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে,
ইন্সপেক্টর হারিস তার টিমের সাথে আলোচনা করছে কি করে লাশের পরিচয় বের করা যায়, কিন্তু সবাই ব্যার্থ হল সঠিক পরামর্শ দিতে l

ইন্সপেক্টর হারিস  অনেক চিন্তিত, কি করে লাশের পরিচয় বের করতে পারবে সে,
নিজেকে প্রশ্ন করে অনেক কঠিন কাজ এটা, তবে কি
জর্জ কার্লোস কে ঘটনা বলবে, সাহায্য নিবে তার কাছে l
ইন্সপেক্টর হারিস নিজের চোখ বন্ধ করে জর্জ কার্লোস কে স্মরণ করে,

অনুসন্ধানের গন্ধ পেয়ে,, গোয়েন্দা "জর্জ কার্লোস" ও তার সহকারী "নিতেন রিভার" ইন্সপেক্টর হারিসের কাছে উপস্থিত হয় l

ইন্সপেক্টর হারিস , জর্জ কার্লোস কে পুরো ঘটনা খুলে বলে,

জর্জ কার্লোস তার সহকারীর দিকে তাকিয়ে বলে ওঠে,
চল গোয়েন্দা গিরি শুরু করা যাক !

প্রিয় পাঠক "জর্জ কার্লোস" ও তার সহকারী "নিতেন রিভার" কি করে মুন্ডুহীন লাশের পরিচয় বের করবে, এটা জানতে হলে নিশ্চয় #গোয়েন্দা_সিরিজের প্রথম গল্প
#অচেনা_লাশ পড়ুন l

প্রথম পর্ব খুব খুব তাড়াতাড়ি আসছে

ধন্যবাদ l

Wednesday, October 17, 2018

****#হাসপাতালে_একদিন ****
         #লেখা_আল_মামুন 

স্বজন হারা কান্না ধারা বইছে আনার্গল,
হু হু হায় হায়  শব্দ ভরা হাসপাতাল ভুবন l
কান্না কারো উচ্চ সুরে কারো নিম্ন সুরে,
কান্না মলিন লক্ষ রোগী হাসপাতালের ফ্লোরে l

মানুষ মানুষ গন্ধ পুরো , ভারী চারি পাশ
আসছে কেহ,যাচ্ছে কেহ, হচ্ছে কেহ লাশ l
লক্ষ রোগী লক্ষ রোগের নিচ্ছে সবাই সেবা,
নিজের লোকের খবর ছাড়া, নিচ্ছে খবর কেবা l

মাথার উপর লাল টুপুরে সাদা রঙের গাড়ি,
এলাম তাহাই হাসপাতালে,
ফিরছি তাহাই বাড়ি l

(***#শব্দহীন***)

Thursday, September 6, 2018

কবিতা


                 ****#মিথ্যা****
              #লেখা_আল_মামুন
প্রশ্ন করি তুমি ধারায় আসলে কেনো ভাই,
তোমার জন্য হাজার মানুষ পাচ্ছে না যে ঠাঁই l
তোমার শক্তি প্রকাশ করে কেউ বা কোটিপতি,
তোমার জন্য কেউ বা হারায় নিজের পরিপাটি l
চুপ করে আর থাকবে কত, উত্তর চাইছি আজ ,
সত্যি বলো মানবো মোরা, মানতে নয়তো লাজl
তোমায় বলে উকিল গুলো করছে রাজত্ব,
তোমার জন্য নিরপরাধ মানুষটি জেলে, হয়েছে নিস্ব।
তোমার বলে ফেসবুকে আজ অনেক জনগণ,
ছেলে হয়েও মেয়ের রূপে করে আগমন l
ছেলে ছেলে প্রেমিক যুগল এখন অহরহ,
শেষ সময়ে কেউবা হারায় নিজের জীবন সহ l
সকাল হতে সন্ধ্যা অবধি তোমার আনাগোনা,
সবাই তোমায় করছে ব্যবহার, কেউ বাদ দিচ্ছে না l
তোমার শক্তি প্রকাশ করে সবাই মজা পাই ,
তাই তো তোমায় বলতে কেহ লজ্জা নাহি পাই .l
সত্যের চেয়ে মিথ্যে বলা অনেক নাকি সোজা,
তাইতো সবার সত্যকে আজ, মনে করছে বোঝা l
মিথ্যে দিয়ে যদি, অফিস,বাসা,দেশ চালিত হয়,
ভাবো তবে সত্য কথা কই জনি বা কই l
আমরা যদি একটু ভেবে সত্য কথা বলি ভাই ,
মিথ্যে তবে নিপাত হবে সত্যের হবে জয় l
(****শব্দহীন****)

Friday, August 17, 2018

কবিতা

**** #মা_য়া ****
                      #লেখা_আল_মামুন 


যে দিন তোকে আমার পেটে প্রথম করি অনুভব,
জীবন যেনো সার্থক হল, ফিরে পেলাম, জীবন কলরব।
গর্ভ মাঝে তোকে নিয়ে,দশ মাস দশ দিন করলাম শেষ,
জন্ম দিতে হাজার কষ্ট, তবে সুখেই ছিলাম বেশ l
বুকের উপর তোকে রেখে, মাটির বুকে নিজে শুয়ে,
শীত, বর্ষা, কিংবা গরম কালে পাল্টায়  নি কো কিছু,
পাল্টে দিলে অসুখ যদি নেই আবার তোর পিছু l

তোকে আমি খাবার খাইয়ে, নিজে থাকলাম অনাহারে,
হাজার স্বপ্ন দেখতাম তোকে, নিজের বক্ষ তরে নিয়ে l
হাজার কষ্ট, হাজার বেদনায় থাকতাম আমি চুপ,
জীবন আমার তোকে নিয়ে, তোর সুখে মোর সুখ l

সময় নামক টাইম স্রোতে তুই, আজকে অনেক কিছু,
পৃথিবী তোকে সঙ্গ দিতে নিচ্ছে যে তোর পিছু l
আজকে তুই যে অনেক বড়, দেশ জুড়ে তোর নাম,
হাজার নতুন আত্মীয় পেয়ে, দিচ্ছিস না মোর দাম l

ফুলে সাজানো তোর নতুন বাড়ি, কয়েকটি তোর দাসী,
দূর থেকে সব দেখি চেয়ে, আমি যে  বনবাসি l
মনে করে দেখতো বাবা,
জীবন, যৌবন, শক্তি পেলি, আমার ঝড়া ঘামে
তবে কেনো তোর সুখে সময়, গেলাম বৃদ্ধাশ্রমে l

(*** #আত্মা ***)

Thursday, August 2, 2018

একটু ভাবনার প্রকাশ


****অর্থহীন কবিতা *****
লেখা=- আল-মামুন
আমি ৭১ এর কান্না,কষ্ট, দেখিনি আর্তনাদ.,
আজকে দেখলাম. সহপাঠীর জন্য রক্ত ভেজা কাঁধ l
পুলিশ নামক পাওয়ার রোবট,অস্ত্র হাতে নিয়ে,
ছাত্রছাত্রীদের করছে আঘাত,মারছে নির্দ্বিধায়ে।
কি কারণে আন্দোলনের দিচ্ছে তারা ডাক,
কারণ জানতে ৫ দিন মতো পিছনে ফেরা যাক l
সেদিন ছিল ২৯ তারিখ দিনটি বৃহস্পতিবার,
স্কুল ছুটির ফিরবে বাড়ি,সবাই রাস্তার পাশে দাঁড় l
হঠাৎ করে জাবালে নূর বাসটি সেথায় এসে,
চলে গেলো বুঝার আগেই কয়েকজনকে পিষে l
স্বস্থানে,করিম,   দিয়া   নিস্তব্ধ হয়ে যায়,
কয়েক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় l
সেই ঘটনার সুত্র ধরে, আন্দোলনের ডাক,
ইচ্ছে তাদের নিরাপদ হোক বাংলার রাস্তা-ঘাট l
চলতে গিয়ে মরবে কেনো, দেশের জনগণ,
সঠিক নিয়মে চলবে গাড়ি করো এটা পণ l
৯ দফার এক দাবী নিয়ে ছাত্রছাত্রী রাজপথে নামলো ভাই ,
সবার মুখে স্লোগান একটাই নিরাপদ সড়ক চাই l
নানা নেতার নানা ভাষায়, শান্ত করতে করছে চেষ্টা,
আগেও অনেক শান্ত বাণী আমরা শুনেছি l
এবার মোরা শুনবো না আর শপথ নিয়েছি,
ভয় করিনা পুলিশ, লাঠি, কামান, গোলা, বোমা,
রাজপথে নামলাম তবে আর পিছু ফিরবো না l
শুনবো না তো অর্থহীন সব শান্তবাণী আর,
এবার মোরা আদায় করবো ন্যায্য অধিকার l
(***শব্দহীন***)

Wednesday, August 1, 2018

কিছু কোমল মনের মানুষ হতে আহবান

পৃথিবীতে এমন কোনো পুলিশ  নেই যে তারা ছাত্র ছিলেন না ... তারাও নিজের সহপাঠীদের অনেক আপন মনে করতো.... নিজের সহপাঠী কে নিজের পরিবারের সদস্য মনে করতো ...নিজের ভালোবাসার মানুষ মনে করতো ......  আজ কিছু ছাত্রছাত্রী নিজের আপন মানুষের জন্য  আন্দোলন করছে  ...তবে কেনো তাদের উপরে আজ এতো অত্যাচার  করা হচ্ছে ......






Sunday, July 29, 2018

কবিতা


    ****অপরিচিত সেই মেয়েটি ***
👍    লেখা =- আল-মামুন
ভালোবাসার পরশ নিয়ে আসলে তুমি জুই,
ইচ্ছে করছে আনন্দে দূর আকাশ তাকে ছুই l
জুই নামক এক তারার ঘটা ঘটলো নীল গগনে,
তাকে নিয়ে হাজার স্বপ্ন জাগছে মনের কোণে l
ফুলের মত নাম খানি তার, চাঁদের মতো মুখ,
হাজার বছর থাকবো নিয়ে বাঁধছি আশায় বুক l
এক বিছানার এক বালিশে থাকবো দুজন শুয়ে.
লক্ষ কষ্টে ও ছাড়বো না পাশ, থাকবো দুজন পাশে l
নদীর যেমন আছে ঢেউ আর আমার আছে জুই.
মেঘের যেমন আছে বৃষ্টি, আমার আছিস তুই l
জুই হল মোর জীবন বীনা. জুই হল মোর আশা,
তুই ছাড়া জুই জীবন আমার. শুন্য বাঁশের খাঁচা l
এই তো সেদিন ফেসবুকে তোর ID খুঁজে পেয়ে,
জীবন যেনো ফিরে পেলাম, বাচবো তোকে নিয়ে l
সিলেট এবং রাজশাহীতে তোর আর আমার বাস,
তুই হলি জুই আমার আয়ু, আমি তোর নিশ্বাস,
সত্যি বলছি এগুলো সব মিথ্যা বলছি না,
ইচ্ছে আছে তোকে নিয়েই বাঁধবো আমার, সুখের ঠিকানা l
ভুল করেও তোর ইচ্ছে যেনো,হারাবার না হয়,
তুই হারালে নিঃস্ব আমি,,পাবো পাগল পরিচয় l
পাগল হলে সবার তরে বলবো, একটি মাত্র কথা,
জুই ছিল মোর জীবন তরী, তার জন্যই এই ভুবনে আসা l
জুই জ্বালালো জীবন প্রদীপ, জুই নিভালো সব,
জুই এর জন্য থেমে গেল জীবন কলরব l
(***শব্দহীন***)

Friday, July 27, 2018

কবিতা


***the games of Musa and Allah***
👍        লেখা=-আল-মামুন
        (ইসলামিক বই পড়ে করলাম )
একদা একদিন মূসা নবী ধরলো যে আবদার.
তোমায় আমি দেখবো প্রভু, ছাড়বো নাকো আর l
আল্লাহ বলে মুসা এটা ছেলে খেলা না.
তোমায় যে চক্ষু দিয়েছি, ওটা দিয়ে আমায় দেখা যাবে না l
মূসা নবী জেদী পুরুষ, ছাড়ার পাত্র না,
আল্লাহর কথা মূসা নবী শুনতে চাইছে না l
অনেক বুঝার পরেও যখন মূসার কমছে না আর জেদ,
আল্লাহ তাকে পরের দিন তূর-পাহাড়ে আসতে হুকুম দেন l
মূসা নবী অনেক খুশি,দেখবে আল্লাহ তালা কে,
সকাল হতেই মূসা নবী ছুটলো তূর-পাহাড়ের দিকে l
আল্লাহ তালা মুসাকে আবার সাবধান বাণীদ্যায়.
মূসা এটা কঠিন খেলা. সহজ খেলা নয় l
মূসা নবী এখন কিছু শুনবে না সে আর,
আল্লাহ কে  দেখবে বলে এক পায়ে সে দাঁড় l
আল্লাহ আর মুসার খেলা এবার শুরু হলো ভাই.
মূসা নবীর চারি সাইড কালো অন্ধকার হয়ে যায় l
চারি দিকে অন্ধকার. মুসা দেখছে না আপন হাত.
অন্ধকারে বিন্দু মাত্র শব্দ নেই কো কারো,
আল্লাহকে সে দেখবে বলে ভয় ধরেনা তারও l
আল্লাহ আবার মুসার চারিদিক আলোকিত করে দেন..
আরো কিছু কাজ বাকি আছে. সেই গুলো করে নেন l
আল্লাহ বলেন মূসা এটা তোমার আমার খেলা,
তোমার সাথে অন্য কোনো প্রাণী থাকতে পারবে না..
আল্লাহ তালার হুকুম মত চার ফার্সা জায়গা মাঝে এখন কোনো প্রাণী নেই.
আল্লাহ এবার মুসাকে আকাশ পানে তাকার হুকুম দিয়ে দেন l
আল্লাহ তালা হুকুম মত মূসা আকাশে পানে তাকালেন ,
একে একে সাত আসমান দেখতে আরম্ভ করলেন l
সাত আসমান পর মূসা নবী '' সিদরাতুল মুনতাহা'' দেখতে পেলেন l
সেখানে তে চারটি নদী/ঝর্ণা আছে প্রবাহমান বেশ l
দুই নদী জান্নাতে আর দুই দুনিয়ায় প্রবেশ l
মূসা নবী আবার দেখা শুরু করলেন,
এর পরেই তিনি কুরআন এর বাড়ি '' লাওহে মাহফুজ'' দেখতে পেলেন l
'' বাইতুল মামুর'' তারপরে তিনি দেখতে পান l
যেটা হল ফেরেস্তাদের নামাজের স্থান l
মূসা নবী অনেক কিছু দেখতে পেয়েছেন.,
কিছুক্ষণ হয়তো তিনি আল্লাহ কে দেখবেন l
নজর তাহার ঊর্ধ্বমুখি দেখছেন আকাশের সবি ,
কিছুক্ষণ পর দেখতে পেলেন আরশ্ কুরশি
আল্লাহ তালার খুব নিকটে মূসার দৃষ্টি এসে গিয়েছে.
আল্লাহ তালার সত্তর হাজার নূরের পদ্দা মূসা দেখতে পাচ্ছে l
আল্লাহ তালা বললো মূসা এটা শেষ গেটে এসে গিয়েছো,
দেখবে নাকি ফিরে যাবে এখনো ভাবো.
মূসা নবী বললো খোদা যখন এত দূর দেখে আসতে পেরেছি,
দেখবো তোমায় ফিরবো না আর, দেখা দাও বলছি l
আল্লাহ মুসাকে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে বললেন,
আল্লাহর কোথায় মূসা অনেক শক্ত হয়ে দাঁড়ালেন,
আল্লাহ নিজের কিঞ্চিৎ নূরের ঝলক তুর-পাহাড়ে দিলেন.
এতেই মূসা জ্ঞান হারিয়ে পাহাড়ের উপরে পড়লেন.
কি দেখলেন আল্লাহ সেটা মূসা দ্যাখেন নাই ..
প্রমাণ হল আল্লাহ্‌ কে এই দুনিয়ায় দেখা নাহি যায় l
(আসলে এটা মাথায় আসলো তাই লিখে নিলাম
কোনো ধর্ম নিজে লিখি নি... কেউ এটা খারাপ ভাবে নিবেন না)
(***শব্দহীন***)

Wednesday, July 25, 2018

কবিতা


(***আমি টোকাই বলছি ***)
👍 লেখা -=-আল,-মামুন
জন্ম আমার পুকুর পাড়ে, পলিথিন এর ঘরে.
কিছু দিন পর মায়ের জীবন নিলো কালা জ্বরে।
মায়ের মরার সময় নাকি আমার বয়স,, ছিল 21 দিন,
দুধ না খেয়ে মরবো নাকি.এই ভাবনায় বাবার ছুটলো নীনl
নিজের কথা নেইকো মনে, বাবা ছুটছে সবার ঘরে,
.... ইঞ্চি দুধের আশায়.
যেটা খেলে হয়তো খোকা যদি বেঁচে যায়..
দিন শেষে আজ বাবা খুশি. পেলো দুধের খোঁজ,
আমিনা খালা নাকি আমায় দুধ খাওয়াবে রোজ l
সে দিন হতে আজ অবধি আমিনা আমার মা...
তার খোঁজ দিয়ে বাবা  কোথায় হারিয়ে গেলো,কেউ খুঁজে পেলো না...
প্রথম আমি মা হারালাম.. গেলো পরে বাবা..
পৃথিবীতে আগমনেই শুরু আমার কষ্টের জীবন ধাঁধা l
পাঁচ বছরে পেলাম আমি একটা নতুন কাজের খোঁজ..
সারা দিন বোতল কুড়িয়ে একটা বস্তা করতে হবে বোঝ l
সেই হতে আজ অবধি টোকাই আমার নাম,
বোতল কুড়িয়ে অর্থ জোগাড় এটাই আমার কাম l
সারা দিনে কুড়িয়ে বোতল অর্থ সেটা পায়,
আমিনা মাকে দিলে পাবো রাতে শুয়ার ঠাঁই l
খাবার খেতাম বসি পঁচা, কুড়িয়ে অনেক কিছু,
এই গুলোতেও ভাগ বসাতে কুকুর নিতো পিছু l
আমরা টোকাই কুড়িয়ে খাওয়া মোদের পেশা ভাই,
এই কাজ করেও আমরা কেনো চোর উপাধি পায় l
কত মানুষ মারলো লাথি, বিনা দোষে চর বা ঘুষি.
পুরো দেহ ব্যাথায় কাতর. কাজের ক্ষমতা নাই..
তবুও কাজ করতে হবে. নয়তো ঘুমের জায়গা নাই l
এই ভাবে আজ জীবন হতে 30 বছর পার,
Office time করছি গল্প. সবই আমার দিকে চাই.l
টোকাই থেকে আজ কে আমি বড় অফিসার.
করিম কাকার দয়ার ফলে পড়ার সুযোগ পায় l
এই তো সেদিন ব্যাগটি কুড়িয়ে পেলাম তখন ভরদুপুর.
ব্যাগ খুলে দেখি ব্যাগ তো পুরো টাকায় ভরপুর l
ফেরত দিবো এটা যার ব্যাগ, কষ্টে তাহার উপার্জনের অর্থ আছে সব..
আমি জানি টাকার মায়া. একশো টাকার জন্য আমি পাইনা খেয়ে রোজ .
তবে যার ব্যাগ তার কি হবে ছোটন একটু বোঝ l
ব্যাগের পাশে কিছু কাগজ দেখতে আমি পায়,
মাসুদ মামার কাছে দৌড়ে  সেগুলো নিয়ে যায় l
মাসুদ মামা পড়ে দেখে, এটা করিম মুর্শেদ সাদিক,
বাসা তাহার সল্টলেকে, টিভি চ্যানেলে মালিক l
গিয়ে তাকে সালাম দিলাম. ব্যাগের কথা জানিয়ে দিলাম.
আমার এমন উদারতায় তিনি খুশি হয়.
তাহার বাসায় থাকার হুকুম আমি পেয়ে যায় l
লেখা পড়া করতে আমায় ভর্তি করা হয়.
ভালো কিছু হবার আশায় সামনে পা বাড়ায়.
MD পদে আজকে আমি ওই চ্যানেল এর boss.
ইচ্ছে আছে টোকাই নিয়ে করবো কিছু কাজ,l
আমি জানি টোকাই নামক জীবন মানে কি,
মা বাবা আর খাদ্য ছাড়াই তাদের জিন্দেগী l
(****শব্দহীন****)

Monday, July 23, 2018

কবিতা


(****দুই সালিকের ঘর****)
👍 লেখা -=-আল,-মামুন
একটি রাতের সমাপ্তি ঘটে আসলো আবার ভোর ,
নাম না জানা কোটি প্রাণের কাটলো ঘুমের ঘোর l
ঘুম শেষে ভাই কেউ বা যাচ্ছে মসজিদে. মন্দিরে,
কেউ বা আবার স্বপ্ন করে যাচ্ছে কক্সবাজারে l
ঘুম শেষে কেউ খাবার খেতে যাচ্ছে রেস্তোরাঁ তে,
কেউ বা আবার পান্তা খেয়ে যাচ্ছে কাজের খোঁজে l
কাউরো সকাল হাজার টাকার খাদ্যে শুরু হয়,
কেউবা আবার পাঁচ টাকার জন্য কাজে হেঁটে যাই l
কাউরো অনেক সম্পত্তি তাই মিঞা নামে পরিচয়...
কেউ বা আবার ভিক্ষা করায় এই উপাধি পাই l
কেউ করেছে কোটি টাকার VIP এক বাড়ি...
কাউরো সম্বল বলতে শুধু একটা ঠেলা গাড়ি ।
খোদা তোমার আজব খেলা বুঝা বড় দায়,
কাউকে কোটি টাকার ভাগ্যে দিলে, কাউকে গো ভিক্ষায় l
সবাই তোমার ইশারাতে আসলো এই জগত দ্বারে,
বাজলো কারো আল্লাহ আকবর,কাউরো উলুধ্বনি কানে l
প্রভু তুমি দিলে সবার এক রকমই প্রাণ..
তবে যেনো জগত জুড়ে এতো ব্যবধান l
কোটি কোটি ব্যবধানে জগত তো ভরপুর,
ভাবনা আমার জগত মাঝে এতো কেনো ব্যবধানে ভরপুর l
ভাবনা তরে ভূবন ঘুরে দেখতে আমি পায়,
কেউ রয়েছে রাজার হালে, কেউ থাকে রাস্তায় l
রাস্তার ধারে অনাহারে পরে থাকে পুরো দিন,
রাতের বেলা মশার কামড়.. নেইকো চোখে নীন।


লেখা =- আল মামুন


Wednesday, July 18, 2018

কবিতা


        ::::::(***বিবেক***)::::::
  👍 লেখা =- আল মামুন
খোকা আজকে অনেক বড়,হাই প্রোফাইল বয়,
লক্ষ টাকার চাকরি করে. দামী ফ্ল্যাটে রই.
তার তো সুন্দর ওয়াইফ আছে,নিউ মডেলের গাড়ি আছে.
পার্টির নামে করছে নষ্ট হাজার টাকা ব্যয় l
বৌ যেনো তার প্রাইম মিনিশটার, শুনতে হবে সবি .
বাড়ির পুরো কাজ শেষ করতে হবে,উঠার আগেই রবি,
বৌ যেনো তার সোনার প্রদীপ. আলোই ভরপুর,
তাই তো একদিন বৌ এর কথাই, মা কে করে দূর l
মাদার নামক মায়ার বাঁধন. হঠাৎ গেলা ভুলে,
তাই তো সে দিন মাকে ফেলে কোথায় গেলা চলে l
ফাস্ট লাইফে মাকে রাতে হাজার কষ্ট দিলে .
জব এন্ড যৌবন পেয়ে কেনো তাকে ই ভুলে গেলে l
ভেবে দেখো শীতের রাতে মায়ের ত্যাগের কথা,
প্রসব ভেজা কাপড়ে রাত কাটালো.নেই কো মাথা ব্যাথা l
তোমার হ্যাপি মোমেন্ট গুলোই ছিল মায়ের সব,
তোমার দিকে চেয়ে ভুলে যেতো হাজার কষ্ট সব l
বৌ এর কোথায় বৃদ্ধ মাকে দিলে বৃদ্ধাশ্রমে বাস.
যে মা তোমায় খাবার খাইয়ে,থাকতো গো উপাস l
মা হলো তোর আপন মানুষ,মা হল পৃথিবী,
মায়ের দোয়ার নিচে. এই দুনিয়ায় সবি।
আল্লাহ্‌ যদি তাহার পরে, কাউকে,সিজদার হুকুম দিতো,
নিশ্চয়ই তবে সেটা একশো পার্সেন্ট মা আর বাবা হতো l
মায়ের কষ্টে মহান প্রভুর আরশ কেঁপে যায়,
তবে কোন সাহসে মাকে তুমি কষ্ট দিচ্ছ ভাই I
আজ হতে তাই শপথ নিলাম, মা-বাবাকে কষ্ট দিবো না,
মা-বাবা নিয়ে গড়বো মোরা সুখের ঠিকানা.... I
(***শব্দহীন***)

Tuesday, July 17, 2018

(****(সময়ের পার্থক্য) ****)




***সময়ের পার্থক্য ***
      লেখা=-=আল-মামুন 
               1st পার্ট 

বাইরে প্রচণ্ড বৃষ্টি হচ্ছে.... আমি নিজেকে আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ আর প্রিয় বিছানার সাথে অনুভব করলাম.. আর অনুভব করলাম আমার দুই প্রিয় জিনিসের মধ্যে আমি অবস্থান করছি... মানে হল আমার প্রিয় বিছানার বুকে আমার মাথা এবং আরেক প্রিয় মানুষের মাথা আমার বুকের মধ্যে... আমি এবং আমার দুই প্রিয় গত  4 বছর যাবত এই ভাবে প্রতি রাত অতিবাহিত করছি.... কারণ আমার প্রিয় মানুষটার নাকি আমার বুকে মাথা না রাখলে ঘুম আসে না.... আমি ও অনেক এটা enjoy করি.. হাজার হলেও আমার একশ না পঁচিশ না মাত্র একটাই প্রিয় মানুষ .... Ohh sorry আপনাদের to বলাই হল না আমার প্রিয় মানুষটি কে... আমার প্রিয় মানুষটা হল আমার বৌ.... আমাদের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হলেও এটা আমাদের love marred..... আমার লক্ষী বৌ এর নাম হল সানজিদা আক্তার.... সানজিদার সাথে আমার পরিচয়. ভালোবাসা. ভালোলাগা খুব সহজে শুরু হয় নি... 6 বছর আগের কথা.. আমি সবে hight secondary মানে H. S. C পাস করে সম্মানে মানে অনার্স এ ADMISSIONS নিবার জন্য FROM পূরণ করবো তাই আমার রুমে আমার COMPUTER এর সামনে বসে আছি. NET অনেক স্লো কাজ করছে.. অনেক TIME লাগবে.কিছু করার নেই...অনেক time দরকার কারণ আমার সাথে আমার আরো 9 জন বন্ধুর করতে হবে ... হঠাৎ আম্মার নীচতলা হতে ডাক....
আম্মা:ছোটন, ছোটন, কিরে আমার কথা তোর কান অবধি যাচ্ছে না নাকি. ছোটন, ছোটন, (কিছু সময়ের বিরতি) এই ছেলেটাকে আর আমি পারবো না. যতো দিন যাচ্ছে, যতো বড় হচ্ছে মনে হচ্ছে বাদর তৈরি হচ্ছে.. ছোটন, ছোটন, (আমি আর না হেসে পারলাম না)
হাসি 😊 মুখে আম্মার ডাকে সাড়া দিলাম
আমি :হাহাহাহা, JI আম্মু বল কি বলছো?
আম্মা :বলি হাসা হচ্ছে... আমাকে রাগানো হচ্ছে তাই না .নিচে এসে আমাকে একটু সাহায্য করলেও তো পারিস.... কিছু কাজ করতে না পারলেও অন্তত কলিং বেলের শব্দের পর দরজা খুলে দিলেও আমার উপকার হয়।বেলটা 5 মিনিট ধরে বাজছে
আমি আর কিছু বললাম না সোজা নিচে নেমে গেলাম. আম্মা রান্না ঘরে কি যেনো  করছিল. আমি আম্মুর পাশে গিয়ে দাঁড়াতেই বললো.....
আম্মা :তোকে না বললাম দরজা খুলে দিতে এখানে আসলি যে.... আমি কিছু না বলে সোজা sorry sorry বলতে বলতে দরজা খুলে দিলাম... দরজা খুলে দিতেই কে যেনো আমাকে জড়িয়ে ধরলো আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই... আমার জীবনে এই প্রথম কেউ আমাকে এই ভাবে জড়িয়ে ধরলো, আমার চোখ বন্ধ... সব যেনো অন্য রকম হয়ে গেছে... রান্না ঘর হতে আম্মার ডাক
আম্মা :ছোটন কে আসলো... ? কিন্তু a কি... আম্মার রান্না ঘর থেকে আওয়াজ আসতেই.. আমার দেহ হতে জড়িত বস্তু সরে গেলো.. আমি আমার চোখ খুলতেই আমার সামনে পরীর মতো একজন কে দেখতে পেলাম... কি অপরূপ সৌন্দর্য তার.. যেনো সৃষ্টিকর্তা তাঁকে সারা পৃথিবীর রূপ দিয়ে তৈরি করেছে.... আমার যেনো সব অন্য রকম লাগছে.....আমি তার দিকেই তাকিয়ে আছি... কোনো জ্ঞান নেই আমার... পিছন থেকে আমার শার্টের টানে স্বাভাবিক এ ফিরে আসলাম,
আম্মা :তুই কি রে... বাসায় মেহমান এসেছে এর তাদের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিস... সাইড দে... আসেন ভাবি আসেন.... কেমন আছেন সবাই...?
আমি সামনে তাকিয়ে দেখি বাইরে 4 জন মেহমান দাঁড়িয়ে আছে. সাথে আব্বু ও দাঁড়িয়ে. আমার জন্য ভিতরে কেউ আসতে পারছে না. আমি সরে যেতে সবাই ভিতরে ঢুকে আসলো... আমাকে এড়িয়ে মেয়েটি ও ভিতরে আসলো.. তবে লজ্জায় লাল হয়ে গেছে....
আম্মা :ভাবি, আসতে কোনো সমস্যা হয়নি তো আপনাদের?
আম্মার ভাবি :না না ভাবি কোনো সমস্যা হয়নি..আর হবে কেনো দাদা যে ভাবে আমাদের গ্রহণ করে নিয়ে আসলো
রাস্তা পুরো গল্প করতে করতে আসলাম...
আম্মা :আর বলবেন না মানুষটা এই রকমই..শুধু গল্প করতে পছন্দ করে. কি বলবো যদি গল্প করতে পাইনা তবে খাবার কথা ভুলে যাই ...! (সবার এক সাথে হাসি)
আম্মার ভাবি :আচ্ছা ভাবি ছোটন কোথায়.. ?( এই রে আমার কথা হচ্ছে দেখছি) ....
আম্মা :আপনি পাগলা তাকে দ্যাখেন নি.?আরে দরজা খুললো ওটাই তো আমার ছেলে... ( আন্টির মানে আম্মার ভাবির হাসি শুরু)
আম্মা : কি হল ভাবি হাসছেন কেনো?
আন্টি :হাহাহাহা ভাবি হাহাহা. কি বলবো রাস্তায় আমার মেয়ে বললো আপনাকে সারপ্রাইজ দিবে... তার সারপ্রাইজ হল আপনাকে চমকে দেয়া... আপনি দরজা খুলে দিবেন আর ও আপনাকে জড়িয়ে ধরবে... কিন্তু আপনার জায়গাতে আপনার ছেলে চলে এসেছে আর কি (সবাই একসাথে হাসি) শুধু লাজুক মেয়েটি ছাড়া..আমি এতোক্ষণে বুঝলাম.. কেনো মেয়েটি আম্মার ডাক পেয়ে আমাকে ছেড়ে দিয়েছিলো... আমি মনে মনে বললাম আম্মা আমি তোমাকে রাগাই  বলে এত বড় প্রতিশোধ নিলে আর কিছুক্ষণ পরে কথা বললে কি হতো.....ইস
 (চলবে.........)

Monday, July 16, 2018

*****পিপড়া ও ছোটনের গল্প ******




*****পিপড়া ও ছোটনের গল্প ******
লেখা =---আল-মামুন (****শব্দহীন****)


তিন অক্ষরে একটি সংক্ষিপ্ত বাক্যের উৎপত্তি হয়.. আর বাক্যটির নাম  হল জীবন....জীবন হলো আসলে একটি মায়া.. যেটা মানুষের প্রিয় বস্তু..
আজ হতে ঠিক ২২ বছর আগে এই বাক্যের সাথে সম্পর্ক করে পৃথিবীতে এসেছিল ছোটন নামের একটি ছেলে l
দেহের গঠন ছিল একদম পাতলা,উচ্চতা ছিল ছোট গড়নের l
আজকে ছোটন, জীবন নামক মায়া হতে বিদায় নিয়েছে....
এই তো গতকাল রাতে ছোটন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিলো.. বাজী ধরে তরল জাতীয় কিছু ইচ্ছে মত খেয়ে বাসায় ফিরলো।ছোটন কি জানতো আজকে তার জীবনের শেষ রাত...আর শুধু ছোটন কেনো, পৃথিবীর কোনো প্রাণীর বুঝার কোনো ক্ষমতা নেই, তার মৃত্যু কবে আসবে...
প্রতিদিনের মতো আজও ছোটনকে সকাল 09.00 am পর্যন্ত কেউ ডাকে নাই... কারণ বাসার সবাই জানে ছোটন সকাল ৯. ০০ না বাজলে উঠবে না... আগে তার বাবা ফজরের নামাজ পড়তে ডাকতো, কিন্তু ছোটন বাবার ডাকে একটাই উত্তর দিতো... ছোটন উত্তরে বলতো... বাবা সকলের ঘুম তা নষ্ট করে তুমি কি মজা পাও বলো তো... জীবন তো কেবল শুরু হলো.. নামাজ পড়ার অনেক টাইম পাবো বাবা, জীবন তো কেবল শুরু হল.. আগে কিছু দিন enjoy করি.. বাবা আর এখন ডাকে না... জেনে গেছে ছোটন কি বলবে....
আজ সকাল ০৯.০০ বেজে গেছে.. কিন্তু ছোটন ঘুম হতে উঠছে না... অনেক ডাকা ডাকি করার পর ও কোন উত্তর না পেয়ে বাধ্য হয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকলো সবাই....
সবাই দেখলো সুন্দর দেহের মানুষ টি নিজের বিছানায় শুয়ে আছে...কিন্তু কথা বলছে না কেনো... কিছুক্ষণ মা বাবা ভাই বোন.. সবাই তার ঘুম ভাঙ্গার ব্যার্থ চেষ্টা করলো কিন্তু কোনো লাভ হল না.. সবার আর বুঝতে বাকি রইলো না. ছোটন আর মায়ার পৃথিবীর ঘুমে ঘুমিয়ে নেই.. সে অন্তিম ঘুমে আচ্ছন্ন....
এখন কিছুক্ষণ আত্মীয় স্বজনের প্রিয় বস্তু হারানোর কান্না শুরু হবে.... কয়েক ঘণ্টা বা কয়েক দিন এটা চলবে...
সময় অনেক সংক্ষিপ্ত..
কয়েক জন মানুষ ছোটনকে গোসল দিবার জন্য নিয়ে বাইরে গেলো...
আসতে আসতে সব পরণের কাপড় খুলে ফেলা হচ্ছে....কিছুক্ষণে মধ্যে গোসল আরম্ভ হবে.....হ্যাঁ গোসল শেষ হলো...
ছোটনকে সাদা কাফনে মোড়ানো হল,এই পৃথিবীর কোনো দামী বস্তু ছাড়াই.... ছোটনের কাফনে মোড়ানো দেহে কোন পৃথিবীর বস্তু নেই.. কিন্তু একটা
পিপড়া ছোটনের দেহে রয়ে গেছে... পিপড়াটি ছোটনের নরম শরীরের মধ্যে কামড় দিচ্ছে.. কিন্তু ছোটন তাকে প্রতিহত করার কোনো ব্যবস্থা করছে না.. এটা দেখে
পিপড়াটি কামড় দেওয়া থামিয়ে দিলেন....
এখন পিপড়া ও ছোটন দুই জনেই চুপ কেউ কথা বলছে না...
পিপড়া মহোদয় ছোটনের কথা বলার কোনো লক্ষণ না দেখে নিজেই বলতে শুরু করলেন ...
কি খবর তোমার..আজ তুমি আমার সাথে মোকাবেলা করছো না কেনো... কোনো কথা বলছো না আজকে ... আজ তুমি চুপ কেন.. কি হলো আজ তোমার..
--তোমার সব ক্ষমতা কোথায় গেলো, যে ক্ষমতার  অধিকার আল্লাহ তোমাকে দান করেছিলো...
--কোথায় তোমার ক্ষমতা, যার সাহায্যে তুমি পৃথিবীর বুকে নেতাগিরি করতে...
--কোথায় তোমার সেই ক্ষমতা যেটার সাহায্যে তুমি সারা রাত মোবাইল ফোনে  মেয়ে মানুষের সাথে কথা বলে কাটিয়ে দিতে, যেটা কিনা আল্লাহ তোমাকে বিশ্রাম নিতে প্রদান করেছিলো.. কিন্তু তুমি সেই সময়  কথার সাগরে ডুবে থাকতে.. আর যেই সময় আল্লার তোমাকে তার ইবাদাত করতে প্রদান করলো সেই সময়ে তুমি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন থাকতে.....
---কোথায় তোমার সেই ক্ষমতা,যেটার সাহায্যে তুমি আমার সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হতে... ও ভাই তুমি মানুষ ছিলে, আমি ছিলাম একটা কীট জাতীয়
পিপড়া.,,তোমার শক্তি অনেক বেশী তাই তোমাকে আমি কখনো পেরে উঠেনি... প্রতিবার আমি যুদ্ধে পরাজিত হয়েছি,কিন্তু আমি হাল ছাড়ার পত্র নয়,আমি শপথ গ্রহণ করে ছিলাম তোমাকে একদিন পরাজিত করব.... আজ সুযোগ পেয়েছি আমি আজ তোমাকে ছাড়বো না....
কিন্তু পিপড়া মহোদয় ছোটনেকে কোনো আঘাত করলো না.. নিজের চোখের পানি ছেড়ে আল্লার কাছে ছোটনের জন্য দোয়া করতে শুরু করলো...
পিপড়া বলতে শুরু করলো "হে আমার প্রভু..আজ কে যে মানুষ টি, মানুষ নাম পাল্টে লাশ নাম গ্রহণ করেছে,ওর ঘরের এক কোণে আমার বাস ছিল... আমি তার সব কিছু দেখেছি...তার সব কাজের জন্য তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি.. ওকে  ক্ষমা করে দাও....
ছোটন আজ পিপড়ের কথায় অনেক ব্যথিত.. ইস্ আর কিছু দিন আগে যদি তোর সাথে আমার কথা হতো... হয়তো আমার সব পাপের জন্য ক্ষমা আবেদন করতে পড়তাম....
সময় শেষ... ছোটনকে তার আপন ঘরে রাখতে কবরস্থানের দিকে সবাই অগ্রসর হল...
পিপড়া আকাশ পানে তাকিয়ে. বললো এটাই বুঝি  জীবন ........
(***সমাপ্ত***)
(পুরো কাল্পনিক)
(****শব্দহীন*****)

Saturday, July 14, 2018

কবিতা




****সত্যের সন্ধানে ******
লেখা =--আল-মামুন (****শব্দহীন*****)

এক পৃথিবী, এই দুনিয়ায় , সবার, এক রকমই শ্বাস...
কিন্তু হাজার ধর্মের মানুষ, ইহাই, করছে বসবাস.!
কেউ বা যাচ্ছে মসজিদে আর কেউ বা মন্দিরে,
কাউরো বিশ্বাস আল্লাহ, আর কাউরো ঈশ্বরে।
এক পৃথিবী, এই দুনিয়ায় , নানান রকম ভাষা,
হিন্দী. উর্দু. ফার্সি. কিংবা বাংলা ভাষায় ঠাসা l
ভাষা সবার ভিন্ন তবে, অর্থ সব এ্যাকি,
ইংলিশে যা WOMAN সেটা বাংলায় মানবী l
এক পৃথিবী, এই দুনিয়ায়, হাজার গায়ের রং,
কেউ বা সাদা.. কেউ বা কালো,কেউ  হল ধূসর l
এক পৃথিবী, এই দুনিয়ায়, হাজার জ্ঞানের ধার ,
কেউ বা প্রবল, কেউ বা তুখোড়, কেউ বা যাযাবর l
এক পৃথিবী, এই দুনিয়ায়, হাজার বাড়ির বেশ,
কাউরো বাড়ি একশো তালা, কাউরো খরের লেস l
কাউরো আছে গাড়ির সারি,কাউরো বা সাইকেল,
কেউ  বাজাচ্ছে দামী হর্ন আর কেউ বাজাচ্ছে বেল l
এক পৃথিবী,এই দুনিয়ায়, পার্থক্যে ভরপুর,
সকাল থেকে পরের বেলা নিশ্চয়ই আসবে গো দুপুর l
এই পার্থক্যের বেড়া জালে মোরা সবাই বৃদ্ধমান,
জীবন-মৃত্যু এই পার্থক্যের দিচ্ছে ইতি টান l
জীবন-মৃত্যু সবার জন্য একই রকম ভাই,
জীবন-মৃত্যু থেকে রেহাই পাবার কেহ নাইl
জীবন দিয়ে শুরু সবার, মৃত্যু দিয়ে শেষ,
জীবন-মৃত্যু মাঝে হলো পার্থক্যের প্রবেশ.l
সত্যের সন্ধানে এটা আজকে প্রমাণ হলো সেই,
পার্থক্য ভরা সবকিছুই,, তবে জীবন-মৃত্যুয় নেই "!!!!!
(****শব্দহীন*****)

আমি আমার মত

সাধারণ একটা ছেলে আমি... গল্প কবিতা লিখতে
অনেক ভাল লাগে =আল-মামুন 

কবিতা


                         ****জীবন ****
                    লেখা :--আল-মামুন(শব্দহীন)
শিশু হয়ে জন্ম আমার,
             বৃদ্ধ হয়ে শেষ l
এই সময়ের মধ্যেই কত,
        রূপ ধরেছি বেস l
জীবন নামে রেলগাড়ী আজ স্টেশনে দাঁড়,
এত পাপের বোঝা নিতে পারছে না সে আর l
নিষ্পাপ হয়ে আসলাম ভবে,
                পাপী হয়ে যাবো l
জীবন নামক জিনিষ তা কি,
          খুঁজে কি আর পাবো l
বন্ধু, বান্ধব, আত্মীয় স্বজন কেউ তো কারো নয়,
        ক্ষণিকের এই দুনিয়ায় তো সবই অভিনয় l
সবার জন্য করলাম সব, নিজের জন্য কি,
জীবন মৃত্যুর সন্নিকটে আজ এটাই তো ভাবছি l
রুনা মিজান বাসার সোহান  ভালো থাকিস  সাবরিন,
       জীবনের বাকি সময় টুকু শেষ হবার আজ দিন l
   বিদায় বেলা ইচ্ছে জাগে করতে নানান কাজ,
  মামুন নামক জীবন প্রদীপ নিভে গেলো আজ l
(উৎসর্গ----আমার সকল বন্ধু-বান্ধবীদের )
(****শব্দহীন****)

কোনো ব্যক্তি বা কোনো দলকে আঘাত করার জন্য আমি রাজনীতিতে আসছি না=-মাশরাফি

সবুজে ভরপুর সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই বাংলাদেশ l সুবহে সাদিক তথা ফজরের আজানের সাথে সাথে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের কর্মের উদ্দেশ্য...

www.mamunchotonbd.blogspot.com